কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি পাগলা কুকুরের কামড়ে আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে বুধবার (১৯ জুন) পর্যন্ত ৩৫-৪০ জনকে আহত করেছে কুকুরটি।
আহতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু। এছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা রুবেল, কাইসার, লাইছ মিয়া, আবুল কাশেম, মনির হোসেন, আসাদ, হোসেন আলী, আরমান, তৌহিদ, আবুবকর সিদ্দিক, রাব্বি, সাব্বির, শহিদুল্লাহ, সানি, সূর্য ও মানিকসহ আরও অনেকে।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব শহরের ওইসব এলাকার পথচারীদের আচমকা কামড়াতে থাকে কুকুরটি। তখন লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কুকুরটিকে তাড়া করলে, আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঢুকে নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের কামড়াতে থাকে।
ভৈরবপুর এলাকার মনির হোসেন বলেন, “আমি বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলে হঠাৎ করে কুকুরটি এসে আমার পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর অনেক চেষ্টা করেও কুকুরটি ধরতে পারেনি। এলাকার লোকজনও কুকুরটি ধরতে ব্যর্থ হয়েছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার বুলবুল আহাম্মদ বলেন, “মঙ্গলবার থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত আমার এখানে ৩৪ জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। তবে আজকে এখন পর্যন্ত কোনও রোগী আসেনি। পাগলা কুকুরের কামড়ে সাধারণত প্রত্যেককে ভ্যাকসিন ও আইজি দিতে হয় ৫টি করে। তবে যারা আক্রান্ত বা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করছি। ভ্যাকসিন নিয়ে সবাই বাড়ি চলে গিয়েছে।”
ভৈরব পৌরসভার মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনু বলেন, “এই ঘটনাটি আমি শুনেছি। এই বিষয়ে অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কুকুর মারার অধিকার পৌর কর্তৃপক্ষের নেই। তবে স্থানীয় জনতা যদি পাগলা কুকুরটিকে মেরে ফেলে সেক্ষেত্রে আমাদের কিছুই করার নেই। এছাড়া যারা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসা দিতে আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারকে অনুরোধ করেছি। চিকিৎসায় কারও সহযোগিতা লাগলে সে ব্যবস্থা আমি করব।”