আওয়ামী লীগ কোনো ভিসা নীতিকে পরোয়া করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কারও ভিসা নীতির তোয়াক্কা আমরা করি না। কারও খবরদারিতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চলবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করার জন্য নয়।
সোমবার বিকালে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
মার্কিন ভিসা নীতির তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কারও ভিসা নীতির তোয়াক্কা করিনা। কারও ভিসা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করতে এ দেশ স্বাধীন করা হয়নি। যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা বলে তাদের দেশেই গণতন্ত্র, মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত হচ্ছে। এদেশে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেবে এ দেশের মানুষ, অন্য কেউ নয়। কারও খবরদারিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন চলবে না।’
তিনি বলেন, আমরা পরোয়া করি বাংলাদেশের জনগণকে। কোনো ভিসা নীতি, কোনো নিষেধাজ্ঞা আমরা মানি না, মানব না। আমার গণতন্ত্র আমি করব, আমার নির্বাচন আমি করব। তুমি কে? সাত সমুদ্র তেরো নদীর পাড় থেকে আটলান্টিকের ওপার থেকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, এই দেশ গ্যাবনের আলি বোঙ্গোর দেশ নয়।
বক্তব্যে বিএনপিকে দেশ অস্থিতিশীল না করার জন্য সতর্ক করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, বিএনপি আগুন নিয়ে এলে তাদের হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে, অস্ত্র নিয়ে এলে ভেঙে দেওয়া হবে, যেমন কুকুর তেমন মুগুর।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত শুক্রবার থেকে একাধিক বাংলাদেশির ওপর নতুন ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করে আমেরিকা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যারা পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে আছেন সরকার ও বিরোধী দলীয় রাজনীতিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার দায়ে এঁদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা ভিসা পাবেন না বলে বিবৃতিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, এঁদের কেউ আমেরিকা প্রবেশ করতে পারবেন না। এমন আরও কাউকে পাওয়া গেলে তাঁদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ওপর।