কৃষিজমি রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম

কৃষিজমি রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের কোনো নাগরিক ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখতে পারবেন না। উত্তরাধিকার সূত্রে কেউ বেশি জমি পেলেও ৬০ বিঘা কৃষিজমি রেখে অতিরিক্ত জমি ছেড়ে দিতে হবে। অতিরিক্ত কৃষিজমি নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিয়ে সরকার খাস করতে পারবে।

জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ভূমি সংস্কার আইনে এমন বিধি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমিসচিব মো. খলিলুর রহমান ও যুগ্ম সচিব মো. খলিলুর রহমান।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা এসব তথ্য জানান।

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আয়োজন করা এই সংবাদ সম্মেলনেই জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ভূমি সংস্কার আইন-২০২৩ নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘একসময় জমিদারদের অধীনে অধিকাংশ জমি ছিল। ১৯৫০ সালে নতুন নিয়ম করে বলা হয়, একজন সর্বোচ্চ ৩৭৫ বিঘা রাখতে পারবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তা কমিয়ে ১০০ বিঘা করেন। আর ১৯৮৪ সালে সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তা ৬০ বিঘা করেন। কিন্তু এটি এত দিনেও বাস্তবায়ন হয়নি। এখন নতুন আইন করে সরকার তা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। যার মূল কথা হলো কোনো একক ব্যক্তির ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি থাকতে পারবে না।’

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার পরে কোন ব্যক্তির কৃষিজমির পরিমাণ ৬০ বিঘার বেশি হলে তখন কী হবে? এর জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও ভূমিসচিব খলিলুর রহমান বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উত্তরাধিকার হিসেবে পাওয়া কৃষিজমি এবং তাঁর নিজের কৃষিজমির মধ্য থেকে তাঁর সুবিধামতো সর্বোচ্চ ৬০ বিঘা জমি রাখতে পারবেন।’

এ বিষয়ে ভূমিসচিব আইনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত জমি ৬০ বিঘার বেশি হলে ভূমির মালিক নিজের পছন্দ অনুযায়ী ৬০ বিঘা ভূমি রাখতে পারবেন। অবশিষ্ট ভূমি সরকার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ক্ষতিপূরণ দিয়ে খাস করতে পারবে। তবে সমবায় সমিতিসহ ৮টি ক্ষেত্রে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি রাখার সুযোগ রাখা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়টি বিধিমালায় ঠিক করা হবে।

Link copied!