চোরের হাত থেকে নিজের শখের মোটরসাইকেলটি সুরক্ষিত রাখতে কেউ ব্যবহার করে হাইড্রোলিক লক, আবার কেউ ব্যবহার করেন জিপিএস ট্র্যাকার। অথচ মোটরসাইকেলের চাকায় তালার বদলে ব্যবহৃত হয়েছে আসামির হ্যান্ডকাপ! হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে। এবার শরীয়তপুরের এক পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা নিজের মোটরসাইকেল রক্ষায় এই বুদ্ধি প্রয়োগ করে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং এলাকায় জন্ম দিয়েছেন তুমুল আলোচনার।
খান মুহাম্মদ শাহিন নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মোটরসাইকেলের চাকায় হ্যান্ডকাপ লাগানো দুটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হাতকড়া ঝুলছে মোটরসাইকেলের হাইড্রোলিক প্লেটে।’ আর সেই পোস্টে অনেকেই করেছেন কৌতুকপ্রদ মন্তব্য।
মোটরসাইকেলে হাতকড়া লাগানোর বিষয়ে জেলা জজ আদালতের অ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম সজীব বলেন, “বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন, প্রবিধান ৩৩০ এ হাতকড়ার ব্যবহার সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে হাতকড়া সবসময় ব্যবহারোপযোগী রাখতে হবে। পুলিশের কোনো সদস্য পেশাগত কাজ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজে এটা ব্যবহার করতে পারবেন না।”
পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা বলেন, “চোর অনেকের মোটরসাইকেলের তালা ভেঙে চুরি করে নিয়ে যায়। আমার বাসার সামনে রাস্তার কাজ চলমান থাকায় মোটরসাইকেলটি বাসায় নিতে পারি না। চুরি এড়াতে মোটরসাইকেলটি হাতকড়া দিয়ে তালা মেরে রাখি।”
জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না। যদি এমন কোনোকিছু ঘটে থাকে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”