হেফাজতের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। আগামী ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে নেতাকর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজিদুর রহমান।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের জাতীয় ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
হেফাজত মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, ‘প্রায় তিন বছর ধরে মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি আছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনীর হোসাইন কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম ও মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ আরও অনেক আলেম। সাজানো মামলায় তাদের এত দীর্ঘ সময় অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে সরকার। আজকের সম্মেলন কারাবন্দি সব নেতাকর্মীর আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামবিরোধী সব অপশক্তি প্রতিরোধ, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং মজলুম মানবতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সর্বস্তরের আলেম ও তৌহিদী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আল্লাহ্, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুৎসা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে। সরকারিভাবে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।’
হেফাজতের নায়েবে আমির মাহফুজুল হক বলেন, ‘হেফাজত রাজনৈতিক সংগঠন নয়, তবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণকারী সংগঠন। ইসলাম যদি রক্ষা না পায় তবে এ দেশের স্বাধীনতা রক্ষা পাবে না। কেউ যদি ইসলামবিরোধী কাজ করে হেফাজত তার প্রতিরোধ করবে। হেফজতের ১৩ দফা বাস্তবায়ন করত হবে।’
হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, ‘কারাবন্দি আলেমদের মুক্তির জন্য যে কোনো কর্মসূচি দিয়ে কারাগারের লৌহ কপট ভাঙতে তাদের বের করে আনতে হবে।’
আমিরের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি খলিল আহমদ কাসেমী, কেন্দ্রীয় নেতা মাহফুজুল হক, সালাহউদ্দিন (পীর সাহেব নানুপুর) উবায়দুল্লাহ ফারুকসহ অনেকে।