মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার সংকটে অনুসন্ধান: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক

জুন ৫, ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে জটিলতা নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ও এতে কেউ দায়ী থাকলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৫ জুন) জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা এ কথা বলেন।

বুধবার বিকেল পাঁচটায় শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। ছবি: পিএমও

সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে চক্র তৈরি এবং অনেকের যাওয়া বন্ধের ব্যাপারটি উঠে আসে মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নে।

তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেয়। ১৩টি দেশেরই লাইসেন্সধারী বৈধ সংস্থাগুলো কর্মী পাঠাতে পারে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই শুধু মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কিছু লোক মিলে নির্দিষ্ট কয়েকটি এজেন্সির মাধ্যমে লোক পাঠাতে হয়।”

“মালয়েশিয়ায় অনেক কর্মীর যেতে না পারার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, বাংলাদেশের বৈধ সব এজেন্সির মাধ্যমে কেন কর্মী পাঠানো যায় না, এ জন্য দায়ী মন্ত্রণালয় নাকি কূটনীতিক?” এমন প্রশ্ন করেন বিরোধী দলীয় এই নেতা।

জবাবে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সরকার বিশেষ ফ্লাইট চালু করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ ফ্লাইট, অন্যান্য ফ্লাইটের সঙ্গে সংযুক্ত করে সবাইকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অনেকেই বাদ পড়ে গেছেন। বাদ পড়ার কারণ কী, সেটা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

বাজেট অধিবেশনে সংসদে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “যখনই আমরা আলোচনা করে ঠিক করি কত লোক যাবে। তখনই দেখা যায়, আমাদের দেশের এক শ্রেণির লোক, যারা জনশক্তির ব্যবসা করেন, তাঁরা তড়িঘড়ি করে লোক পাঠানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কিছু লোকও সংযুক্ত আছেন। ফলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। প্রতিবারই যখন সরকার আলোচনা করে সমাধানে যায়, তখনই কিছু লোক ছুটে যান, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। যাঁরা যান, তাঁদের কাজের ঠিক থাকে না, চাকরিও ঠিক থাকে না, বেতনের ঠিক থাকে না, সেখানে গিয়ে বিপদে পড়েন। এটা শুধু মালয়েশিয়ায় নয়, অনেক জায়গায় ঘটে।”

প্রবাসে কর্মী পাঠাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কিছু মানুষ দালালের মাধ্যমে বিদেশে যেতে চান। এতে তাঁরা সমস্যায় পড়েন।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বারবার আমি দেশবাসীকে বলেছি, জমিজমা, ঘরবাড়ি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা খরচ করার দরকার নেই। যদি দরকার হয়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারেন। প্রয়োজনবোধে বিনা জামানতে ঋণ দেওয়া হয়। সেখানে তাকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে যে তিনি যাচ্ছেন, তার চাকরিটা সুনির্দিষ্ট কি না; এটা হলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।”

যথাযথ নিয়ম মেনে বিদেশ যাওয়া নিরাপদ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “এরপরও আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে, কে আগে যাবে, সেই দৌঁড় দিতে গিয়ে হাতা-খাতা, ঘরবাড়ি সব বিক্রি করে, তারপর পথে বসে। অথবা সেখানে যদি চলেও যায় বিপদে পড়ে।”

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে সমস্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “এবার যে সমস্যা হচ্ছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি, কেউ দায়ী থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!