মেট্রোরেলে এক যাত্রীকে কামড় দিয়েছেন আরেক যাত্রী। দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ফেসবুক পেজে প্রকাশ হওয়া এক ভিডিও থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, দুজন যাত্রীর মধ্যে বাদবিসম্বাদ হচ্ছে। সেটা নিয়ে অন্য যাত্রীরা মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন।
ঘটনার দায় স্বীকার না করে উল্টো আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাই গাইতে থাকেন প্রকৃত দোষী। তবে অন্য যাত্রীরা তার কথায় কর্ণপাত করেননি এবং তাকেই দোষারোপ করতে দেখা গেছে তাদের। এর মধ্যেই কামড় দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, “আমারে ঘুঁষি দিছে।” এর মধ্যেই মারমুখী হয়ে অন্য যাত্রী এসে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “তুই আমার শার্ট ছিঁইড়্যা ফালাইছস না? দেখছস, তুই আমার শার্ট ছিঁইড়্যা ফালাইছস?”
এ সময় অন্য যাত্রী প্রকৃত দোষীকে আড়াল করতে চাইলে ভুক্তভোগী যাত্রী বলতে থাকেন, “না, না ওরে যাইতে দিবো না। ওরে যেতে দিবো না আমি।”
ভিডিওর একপর্যায়ে ভুক্তোভোগীর কাছে পুরো ঘটনা জানতে চাওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, “আমি এভাবে (হাত দিয়ে অভিনয় করে দেখিয়ে) দাঁড়াইছি, উনার গায়ে হাতটা লাগছে। উনি আমাকে এইটা নিয়ে খুব ইনফ্লুয়েন্স করতেছে যে, হাত রাখল কেন? তো উনি আমাকে হাত রাখল কেন, হাত রাখল কেন? এরপর আমার হাতের ওপরে- এই যে দেখেন, (ভিডিওতে ক্ষতস্থান দেখিয়ে) এইখানে কামড় দিছে এবং আমার এই শার্টটা ছিঁড়ে দিছে। চশমাটা ভেঙে ফেলছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী আরেক যাত্রী বলেন, “এই কারণে আমার মোবাইলটা ভেঙে গ্যাছে। না উনাদের, এই যে, উনি কামড় দিছেন। ওইটা ঠেকাইতে গিয়া একজন পড়ে গেছেন। আমার মোবাইল ভেঙে গেছে।”
প্রকৃত দোষীকে যাত্রীরা জেরার মুখেও দোষ স্বীকার না করায় এবং অশালীন ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে ভুক্তভোগীকে বলতে শোনা যায়, “তোরে মাইর্যা ফালাইবো।”
জবাবে দোষী ব্যক্তিও বলেন, “আমারে মাইর্যা ফালাইবেন। আমি তো মনে করছিলাম, আপনি ভালো মানুষ।”
পাশে থাকা আরেক যাত্রী বলেন, “ভালো মানুষ হইলে কামড়াই দিবেন? ভালো মানুষ কামড়ায়?”
দোষী ব্যক্তি সাফাই গাইতে গাইতে বলেন, “ভাই, আমারে ঘুঁষি দিছে। এইটা করছেন আপনে।”
আরেক যাত্রী প্রশ্ন করেন, “কে ঘুঁষি দিছে?”
দোষী ব্যক্তি বলেন, “আমি বলছি, এইখানেই ধরেন। উনি সেইটা করবেন না। আমি কোনও খারাপ কথা বলি নাই তো।”
এ সময় পাশে থাকা কয়েকজন যাত্রীকে সমস্বরে বলতে শোনা যায়, “ওরে পুলিশে দেবো।”
দোষী ব্যক্তি এ সময় ভুক্তভোগী ঘুঁষি দিয়েছেন বলে দাবি করতে থাকেন। এ সময় মেট্রোরেলের একজন কর্মকর্তা এসে পাল্টা প্রশ্ন করেন, “কীসের ঘুঁষি দিছে?”
অন্য একজন যাত্রী বলেন, “হ্যাঁ, উনারই দোষ।”