আগস্ট ১৭, ২০২৪, ১১:০৮ এএম
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারের সঙ্গে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠিটি লিখেছেন আফরোজ আক্তার সেজুতি নামে একজন মুসলিম মেয়ে। খ্রিস্টধর্মাবলম্বী একটি ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চান তিনি। এজন্য মসজিদটির ইমামকে দোয়ার করারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে আটটার দিকে নয়টি দান সিন্দুক থেকে রেকর্ড ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণের গহনাও পাওয়া গেছে। টাকা গণনার কাজে অংশ নেন প্রায় ৩৫০ জনের একটি দল। এসবের পাশাপাশি খ্রিস্টধর্মাবলম্বী ছেলেকে বিয়ে করতে চেয়ে একজন মুসলিম মেয়ের চিঠি আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে।
চিঠিতে ওই নারী লিখেছেন, খ্রিস্টধর্মাবলম্বী একটি ছেলেকে তিনি ভালোবাসেন। দিনভর তার চিন্তাই তার মাথায় ঘোরে। এমনকি এই কারণে পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারেননা এই নারী।
মসজিদের ইমামকে দোয়া করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠিটিতে লেখা রয়েছে: “আসসালামু আলাইকুম হুজুর, আমার নাম আফরোজ আক্তার সেজুতি। আমি একজনকে অনেক ভালোবাসি। সারাদিন তার চিন্তা আমার মাথায় ঘুরপাক খায়। তার কথা মনে পড়লে অনেক কান্না আসে। আমি আমার পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারি না। সে আমার ব্যাপারে কিছুই জানে না, আমি তার ব্যাপারে সবকিছু জানি। অথচ সে খ্রিস্টান, আর আমি মুসলিম। আমি আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করি। প্রতিদিন নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বলি যাতে সে যেন মুসলিম হয়ে যায়। আমি চাই সে আমার জন্য হালাল হয়ে যাক। আল্লাহ আমার জন্য তাকে হালাল করে দেন, আমি তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছি। তাকে কোনওভাবেই ভুলতে পারছি না। আমি তাকে ভুলতেও চাই না। আমার অনেক ভয় লাগে। সে যেন অন্য কারও হয়ে না যায়। আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন, তাকদিরে (ভাগ্য) দিয়ে দোয়া করবেন। আমার সালাম নেবেন।”
এর আগে গত ২০ এপ্রিল সাইফুল ইসলাম নামে এক প্রেমিকের চিঠি সিন্দুকে পাওয়া যায়। এ ছাড়া একই মসজিদের দান সিন্দুকে পাওয়া অপর একটি চিরকুটে লেখা ছিল: “আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নম্বর পাই একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবাকে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলামী কলেজে ভর্তি হতে পারি।”