তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১১, ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: মির্জা আব্বাস

ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর মুগদার কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকায় গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চচারণ করেন।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে জোটের শরিক দল ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) গণমিছিল করছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা বিএনপি ওইদিন দুটি পৃথক গণমিছিল শুরু হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণমিছিলে বিএনপি, এর সহযোগি সংগঠন ও জোটের অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

শুক্রবার বাদ জুম্মা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা দক্ষিণ শাখা বিএনপির ব্যবস্থাপনায় গণমিছিলে অংশ নিতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম এলাকায় জড়ো হন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণমিছিল করে দলটি। কমলাপুর স্টেডিয়ম থেকে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত গণমিছিল করে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপি। 

আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে না মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, “বর্তমান অবৈধ সরকার আমাদের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। পেটুয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে। তারা সরাসরি গুলি করছে। এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে।” 

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “ এই নির্বাচন কমিশন আমরা মানি না। এটা নিশিরাতের ভোটের সরকার গঠন করেছে। তারা অন্যায় আদেশ মানছে। আপনাদের নির্বাচন করার সাংবিধানিক অধিকার নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।” 

গণমিছিল পূর্ব এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য ড. আবদুল মঈন খান ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, “বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এরপর নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে।”

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আজ অবৈধ নিশিরাতের সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমাদের দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।”

সমাবেশ শেষে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে গণমিছিলটি মালিবাগ মোড়ের দিকে যাত্রা করে। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ডা. জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবেদীন, আহমেদ আযম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, মনিরুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, শিক্ষা সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনসহ অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!