অনুমতি না পেলেও রাজধানীতে মহাসমাবেশ করেছে জামায়াত। সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, কেয়ারটেকারের সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে।’
শনিবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে আরামবাগের মহাসমাবেশে এ কথা বলেন মুজিবুর রহমান।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি ৷ এই দুনিয়ায় আল্লাহর আইন ছাড়া কারও আইন চলতে পারে না। আমরা বাংলাদেশে আল্লাহর আইন চালু করব ইনশা আল্লাহ। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করা। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না, কেয়ারটেকারের সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে।’
ভারপ্রাপ্ত আমির বলেন, ‘এই ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠা নিয়ে হায়েনার মতো আক্রমণ করে হত্যা করেছে। অতএব প্রতিশোধ নিতে চাই। আমাদের প্রতিশোধ হত্যার বদলে হত্যা নয়।
আমাদের প্রতিশোধ আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করে প্রতিশোধ নেব ইনশা আল্লাহ.. জামায়াতের আমির শফিকুল ইসলামসহ যারা অন্যায়ভাবে কারাবন্দী আছেন সবার মুক্তি চাই।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, ‘এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। হাসিনা পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
বুলবুল বলেন, ‘যারা ফকিরাপুল ও শাপলা চত্বরের দিকে আছেন তাঁরা সোজা স্টেজের দিকে আসুন ৷ এখান থেকে কমলাপুর দিয়ে শাহজানপুর হয়ে বিশ্বরোডের দিকে যাবেন।
শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করবেন। কোনো উসকানিতে পা দেবেন না। তাড়াহুড়া করবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে, ধীরস্থিরভাবে আমাদের নেতৃবৃন্দের সাথে বের হয়ে যাবেন।’
সমাবেশ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা আসে।