যাত্রাবাড়ীর পশ্চিম মোমেনবাগের একটি বাসায় দম্পতিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তাদের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তৌহিদুল হক মামুন। নিহত দম্পতির পরিচয়- জনতা ব্যাংকের সাবেক গাড়িচালক শফিকুর রহমান (৬০) ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন (৫০)।
পুলিশ সূত্র জানায়, সকালে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ নম্বরে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় যাত্রাবাড়ী থানার একটি দল। সেখানে শফিকুর-ফরিদা দম্পতি নিজেদের চারতলা বাড়ির দোতলায় থাকতেন। ওপরের দোতলা ও নিচতলার একপাশে ভাড়াটেরা থাকেন। এই দম্পতির ছেলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তার স্ত্রীও ওই বাসায় থাকেন। তবে বুধবার রাতে ইমন তার দাদাবাড়ি ফেনী ও তার স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এরই মধ্যে বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক বলেন, “দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে শফিকুর নামাজ পড়ে ফেরার সময় প্রথমে তার ওপর হামলা চালানো হয়। পরে দোতলায় উঠে তার স্ত্রীকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। বাসার নিচের প্রধান ফটক ও ঘরের দোতলার দরজা খোলা ছিল। আলমারিও খোলা পাওয়া গেছে। নিচতলার পার্কিংয়ে শফিকুরের ও দোতলায় শোয়ার ঘরে ফরিদার লাশ পাওয়া যায়। দুজনেরই মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। শফিকুলের কাছে ছিল প্রধান ফটকের চাবি।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, “কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, কে বা কারা এতে জড়িত সেটা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। এটি আগের বিরোধ নাকি ডাকাতির ঘটনা সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে।”
পুলিশ বিভাগের ডেমরা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার নাহিদ ফেরদৌস বলেন, “একে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আগের কোনো বিরোধের জেরে এটি ঘটে থাকতে পারে।”