সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩, ০৪:৩৭ পিএম
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌ রুটে ফেরিঘাট ও ফেরি সার্ভিস চালু হয়েছে। সেই সঙ্গে চিলমারী নদীবন্দর উন্নয়নের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করা হয়েছে।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) চিলমারী (রমনা) ফেরিঘাটে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে অবদান তা কেড়ে নেওয়া যাবে না। ১৫ বছর যাবত ফখরুলরা বলছেন- সরকারকে ফেলে দিচ্ছে; কিন্তু তারা সেটা পারেনি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা দেখে যান। সুস্থ থাকুন।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রামের বাসন্তীকে নিয়ে যারা দুর্ভিক্ষের চিত্রধারণ করেছে; তারা তাদের ফায়দা নিয়েছে। দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেনি। শেখ হাসিনা বাসন্তীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, তাকে ঘর দিয়েছেন। অন্যরা দিতে পারিনি। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোমারীকে মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করে দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা হয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
সুধী সমাবেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ফেরি পারাপারের ভাড়া কমানোর দাবি তুললে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সর্বসাধারণের সুবিধার জন্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে কমিয়ে সিএনজিচালিত বেবি ট্যাক্সি/অটোরিক্সা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মটর সাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাইসাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে।’
পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ভাড়া লাগবে না জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ভাড়া শতকরা পনের ভাগ কমানো হয়েছে।
চিলমারী-রৌমারী রুটে বিআইডব্লিউটিসির ‘কুঞ্জলতা’ ফেরি দিয়ে পারাপার শুরু হয়েছে। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ বিধৌত রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে। পাশাপাশি কুড়িগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে ও যাতায়াত খরচ কমে যাবে। পরবর্তীতে এ রুটে আরও একটি ফেরি যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
চিলমারী-রৌমারী নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। ফেরি রুটের নাব্যতা বজায় রাখতে দুটি ড্রেজার থাকবে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে এ পথের দৈর্ঘ্য ১৩-১৪ কিলোমিটারে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে বিআইডব্লিউটিএ।
অন্যদিকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে চিলমারী নদীবন্দরের কার্যক্রম শেষ হবে। এই বন্দরের উন্নয়নে ২৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে।