কুমিল্লায় রাফসানের ড্রিংকস BLU তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নোংরা পরিবেশে মান নিয়ন্ত্রণহীনভাবে BLU ড্রিংকস তৈরি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত ২৪ এপ্রিল বিএসটিআই ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এই জরিমানা করে।
উল্লেখ্য মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ, বি-৩৩, বিসিক শিল্পনগরী, আদর্শ সদর, কুমিল্লা; প্রতিষ্ঠানটিকে মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক’ পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। এছাড়া কোন অটোমেশন মেশিন না থাকার পাশাপাশি নোংরা পরিবেশে নারী কর্মীদের মাধ্যমে কোন নিরাপত্তা কিংবা ড্রেস কোড ছাড়াই এই ব্লু নামক ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রস্তুত হচ্ছিল।
এদিকে কারখানায় কোন পরিমাপ যন্ত্র না থাকায় হাতে করে বোতলজাত করা হচ্ছিল এই ড্রিংকগুলো। নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ‘‘ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন -২০১৮’’ এর ৪১ ধারায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানা নাসরিন এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন ইকবাল আহাম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম)।
ইলেক্ট্রোলাইটসের মোড়কে নোংরা পরিবেশ
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ব্লু নামে ইলেক্ট্রোলাইটস ড্রিংক ব্লু বাজারজাত করার ঘোষণা দেয় আলোচিত ইউটিউবার রাফসান, যিনি রাফসান দ্য ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত। তখন লিচু ও তরমুজের ফ্লেভার নিয়ে দুই ক্যাটাগরিতে তারা দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে বাজারজাত শুরু করে। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং ও ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিংয়ের সহায়তায় তারা এই পণ্য বাজারজাত করে। বিশ্বখ্যাত ইনফ্লুয়েন্সার লোগান পল ও কেএসআই’র ড্রিংক ‘প্রাইম’ এর মার্কেটিং স্ট্যাটেজির অনুপ্রেরণায় রাফসানের ‘ব্লু’ বাজারজাত হচ্ছিল।
তবে শুরু থেকেই এই পণ্যটি কুমিল্লা বিসিকে আধুনিক যন্ত্রপাতি, রসায়নবিদ না থাকার পাশাপাশি সফট ড্রিংকস স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে প্রস্তুত করার কোন ব্যবস্থাই ছিল না। এরই মধ্যে সম্প্রতি ‘ব্লু’ লেবুর ফ্লেভার বাজারজাত করছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা নাসরিন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন , যেকোনো প্রতিষ্ঠানকে পণ্য বাজারজাত করতে বিএসটিআইয়ের একটি অনুমোদনের সনদ থাকতে হয়। তাদের তেমন কোনো অনুমোদন বা সনদ না থাকায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পরিবেশের অসঙ্গতি পাওয়ায় তাদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়। পরবর্তীতে তারা কোন পদক্ষেপ না নিলে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।