দিনভর গণনা শেষে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের নয়টি দানবাক্স খোলা হয়।
সকাল থেকে রূপালী ব্যাংকের ৬০ জন কর্মকর্তা, মাদ্রাসার ১৩৪ জন খুদে শিক্ষার্থী, মাদ্রাসার ১০ জন শিক্ষক ও পাগলা মসজিদের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ২২০ জন গণনার কাজ শুরু করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ গণনা শেষ হয়।
এর আগে মে মাসে যখন দানবাক্স খোলা হয়েছে, তখন পাওয়া যায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
তার আগে গত ৭ জানুয়ারি দানবাক্সগুলোতে পাওয়া যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা।
টাকা ছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, সকাল থেকে টাকার সিন্দুক খোলা, বস্তায় ভরে এনে গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন।