পিরোজপুরে দুই দফা জানাজার পর সাঈদীর দাফন সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১৫, ২০২৩, ০৭:১৪ পিএম

পিরোজপুরে দুই দফা জানাজার পর সাঈদীর দাফন সম্পন্ন

সংগৃহীত ছবি

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার(১৫ আগস্ট) দুপুরে পিরোজপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডের পাশে ‘আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন’ মাঠে দুই দফা জানাজা শেষে সেখানেই মসজিদ সংলগ্ন ছেলের কবরের পাশে তাকে শায়িত করা হয়। 

জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়েতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান। জানাজায় ছোট ছেলে মাসুদ সাঈদী উপস্থিত থাকলেও বড় ছেলে শামীম সাঈদী যুক্তরাষ্ট্র থেকে রওনা হয়ে পৌঁছতে দেরি হওয়ায় তাকে বাদ ‍দিয়ে জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে হবে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে সাঈদী ফাউন্ডেশন মাঠে পৌঁছায় সাঈদীর লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি। এ সময় আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিপুল সংখ্যক ভক্ত-সমর্থক সেখানে জড়ো হয়। এ সময় তাদের স্লোগান দিতেও দেখা যায়।

প্রসঙ্গত, কাশিমপুর কারাগারে বন্দি সাঈদী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল সোমবার রাত ৮টা  ৪০ মিনিটে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় সাঈদীর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান জানিয়েছেন।

২০১০ সালের ২৯ জুন সাঈদীকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তাঁকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা হয়। একাত্তরে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতের তখনকার নায়েবে আমির সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে ২০১৪ সালে আপিল বিভাগ সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।

একাত্তরে ‘দেইল্লা রাজাকার’ হিসেবে পরিচিত সাঈদী পরে ইসলাম ধর্মীয় বক্তা হিসেবে পরিচিতি কুড়ান। সাঈদী পিরোজপুর-১ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জামায়াতে ইসলামীর মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

Link copied!