স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন আজ, এক ক্লিকে মিলবে ভোটের সব তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৫:০৩ এএম

স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ উদ্বোধন আজ, এক ক্লিকে মিলবে ভোটের সব তথ্য

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ‘অনলাইন নমিনেশন সাবমিশন সিস্টেম (ওএনএসএস) ও স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ’ চূড়ান্ত করে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থী, রাজনৈতিক দল ও ভোটারের বিষয়ে সব তথ্য এক জায়গায় আনতে কাজ করবে স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ। এ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুযোগ থাকায় অনেক বিড়ম্বনার অবসান হবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার (১২ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে এই অ্যাপের উদ্বোধন হলেও তফসিল ঘোষণার পর তা সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের জানান, অ্যাপটির মাধ্যমে একজন ভোটার ঘরে বসে তার ভোটার নম্বর জানতে পারবেন। পাশাপাশি তার ভোটার এলাকা, নির্বাচনী আসন, ভোটকেন্দ্রের নাম জানা যাবে। এতে ভোটকেন্দ্রের ছবি, ভোটকেন্দ্রের ভৌগোলিক অবস্থান ম্যাপসহ দেখা যাবে। এর মাধ্যমে বিভাগওয়ারী আসনগুলোর তথ্য, যেমন: মোট ভোটার, মোট আসন, আসনের প্রার্থী, প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্যও (হলফনামা, আয়কর সম্পর্কিত তথ্য, নির্বাচনী ব্যয় ও ব্যক্তিগত সম্পদের বিবরণী) থাকবে। সেইসঙ্গে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর তথ্য জানা যাবে এবং সমসাময়িক তথ্যাবলি নোটিশ আকারে প্রদর্শিত হবে। অ্যাপের সাহায্যে প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর চলমান ভোটিং কার্যক্রমের তথ্য ও কত ভোট পড়ল, সেই তথ্যও জানা যাবে।

আহসান হাবিব খান জানান, নির্বাচনী ফলাফলের সার্বিক অবস্থা, যেমন গণনা এবং ফলাফল বিশ্লেষণ নামে অপশনের মাধ্যমে একজন ভোটার পূর্বতন নির্বাচন এবং বর্তমান নির্বাচনের ফলাফলের গ্রাফিক্যাল বর্ণনাও পাবেন। প্রযুক্তিনির্ভর ভোট ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিকল্পনায় ছিল উল্লেখ করে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল ও মোবাইল অ্যাপটিকে ‘যুগান্তকারী পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তাঁর মতে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনাও এর মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশের যুগে’ যুক্ত হলো। এর ফলে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় ‘শো ডাউন’, মিছিল করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা কমে আসবে বলেও বিশ্বাস করেন আহসান হাবিব খান। 

তিনি বলেন, এর ফলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা অথবা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়া সম্ভব হবে না।নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় যে ধরনের পরিবর্তন আনবে : ভোটার নম্বর, ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কে পূর্ব ধারণা নিশ্চিতভাবে ভোটারকে সময়ের অপচয়, বিড়ম্বনা এবং কিছুক্ষেত্রে, ‘হয়রানি’ থেকে রক্ষা করবে। ভোটার নম্বর জানা থাকার কারণে ভোটার তালিকায় সিরিয়াল নম্বর সহজে নির্ণয় হবে, এজন্য কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মীদের শরণাপন্ন হতে হবে না। অ্যাপসের মাধ্যমে একজন ভোটার প্রার্থীদের তথ্যাবলি বিশ্লেষণ করে পছন্দসই প্রার্থী বেছে নিতে পারবেন। ভোটার তার নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা জানতে পারবেন, যাতে করে চূড়ান্ত ফলাফলে ভোটসংখ্যা সংক্রান্ত কোনো বিভ্রান্তির অবকাশ থাকবে না।

Link copied!