বেটা
প্রায় সাড়ে তিন বছর পর জামিন পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিনের আদেশ দেয়।
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তাকে ২০২১ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন থেকেই কারাগারে রয়েছেন তিনি।
গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।
মিতু হত্যা মামলা বর্তমানে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় ৯৭ জনের মধ্যে ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে ।
আট বছর আগে প্রকাশ্যে খুন করা হয় মিতুকে। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এসপি বাবুল আক্তার ওই ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম থেকে বদলি হন। তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
ঘটনার পর টানা সাড়ে তিন বছর তদন্ত করেও ডিবি পুলিশ কোনো কূলকিনারা করতে না পারার পর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এরপর ২০২১ সালের মে মাসে পিবিআই জানায়, স্ত্রী মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল বাবুল আক্তারের ‘পরিকল্পনায়’। আর এজন্য খুনিদের ‘লোক মারফত তিন লাখ টাকাও দিয়েছিলেন’ বাবুল।
আরও পড়ুন: ভিওএ বাংলা জরিপঃ আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়ার পক্ষে ৫৭% মানুষ
পরে বাবুলের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় এবং মিতুর বাবা আরেকটি মামলা করেন। তবে মিতুর বাবার করা সেই মামলা আদালতে না টেকার পর বাবুলের মামলাটিই আবার পুনরুজ্জীবিত হয়।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সেই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। তাতে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। এরপর ওই বছরের ১০ অক্টোবর সেই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
-20241102183141.jpg)
