আগস্ট ১৪, ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
ছবি: সংগৃহীত
টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
এর আগে বুধবার সকালে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে প্রথমে ৭ সেন্টিমিটার ওপরে পৌঁছায়, পরে কিছুটা কমে ৪ সেন্টিমিটারে নেমে আসে। রাতের বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বৃহস্পতিবার তা বেড়ে ১১ সেন্টিমিটার ওপরে উঠে যায়। এতে নীলফামারীর বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলসহ ভাটি এলাকা রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিস্তাপারে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ নানা ফসলের ক্ষেত। লোকজন ক্রমান্বয়ে পানিপ্রবাহ আরও বাড়বে-এমন শঙ্কায় নদীপারের লোকজন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন।
রংপুরের গঙ্গাচড়ার লক্ষ্মিটারী ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, সকাল থেকে তিস্তায় হু হু করে বাড়ছে পানি। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্মিটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, সকাল থেকে পানি বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবারের বন্যা ভয়াবহ রূপ নেওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলোকে সতর্কতা অবলম্বনসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী দু’দিন এই অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল অব্যাহত থাকতে পারে। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে স্বল্পমেয়াদী বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।