সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম

সুদানে ড্রোন হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ দেশে পৌঁছেছে

সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে মরদেহবাহী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম রাগিব সামাদ মরদেহ দেশে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্য নিহত হন এবং আরও নয় জন শান্তিরক্ষী আহত হন। হামলাটি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী চালিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

আহত শান্তিরক্ষীদের কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের কয়েকজন ইতোমধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন।আহতদের মধ্যে তিনজন নারী সৈন্য রয়েছেন। বাকিরা সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানানো হয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হলেন— নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মন্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার বাসিন্দা লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব, সাহস ও আত্মত্যাগ বারবার প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান ধরে রেখেছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ সেই যাত্রায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

Link copied!