আগস্ট ২৩, ২০২৩, ১১:৫৫ এএম
রাজধানীর জুরাইনে গত ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়। এ ঘটনার ৩ দিন পর দুইজনের মৃত্যু হয়। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। এবার মৃত্যুকে বরণ করে বাবা-মায়ের কাছে চলে গেল তাদের একমাত্র সন্তানও।
বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যু হয় ৫ বছর বয়সী আফসানার।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আফসানার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আফসানার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। সকালে মৃত্যুর পর মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোড মন্নান মাস্টারের ৪ তলা বাড়ির নিচতলায় থাকেন ফুচকা বিক্রেতা আলতাফ শিকদার (৭০) ও মর্জিনা বেগম (৫৫) দম্পতি। এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০) স্বামী আতাহার আলী (৩৫) ও মেয়ে আফসানাকে নিয়ে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। গভীর রাতে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়ে নানা-নানী, বাবা-মায়ের সাথে দগ্ধ হয় শিশু আফসানা।
বিস্ফোরণে মা মুক্তা খাতুনের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে মারা যান তিনি। সেদিনই বিকেলে ৫৫ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে আফসানার বাবা আতহার আলীও মারা যান। আর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন আলতাফ শিকদার ও মর্জিনা বেগম।