অক্টোবর ১৪, ২০২৩, ০৪:৪২ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতান্ত্রিক গোটা বিশ্ব আজকে তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলেছে। একইসাথে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে।
শনিবার(১৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নয়াপল্টনে দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। শুক্রবার নরসিংদীতে দুই ছাত্র নেতাকে কমান্ড কায়দায়, সম্পূর্ণ আইন-কানুন ভঙ্গ করে গ্রেপ্তার করেছে। বারবার বলে তলে তলে সব হয়ে গেছে। কেনো বলেন? আসলে কিছুই হয় নাই। গণতান্ত্রিক গোটা বিশ্ব আজকে তাদের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য বলেছে। আর সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সকল নেতা শুধু সংহতি প্রকাশ করেননি। তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে এবং এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় না করে তারা কেউ বিশ্রাম করবেন না। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। এটাকে সরকার বলা যায় না। এরা শাসক। তারা ঘোষণা দেয় বিএনপি আমাদের শত্রু। অর্থাৎ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। গণতন্ত্র বিশ্বাস করলে কোনো রাজনৈতিক দলকে তারা শত্রু বলতে পারে না। এজন্য সামনের দিনগুলোতে আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি বলেন, সামনে পূজা। আমরা সবসময় বলে এসেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ অসাস্প্রদায়িক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই না, সেই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে তারা আবার সেই সমস্যা তৈরি করুক। ইতিমধ্যে করেছে। গতকাল কুমিল্লাতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। তারপরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বাধা দিয়েছে। অনেকে আহত হয়েছে। তাই আমরা অনেক চড়াই-উৎরাই পার হয়েছি। এখন আমাদের সামনে লক্ষ্যে একটাই। আজকে আমাদের দেশ, অর্থনীতি এবং মানুষকে বাঁচাতে হলে ও বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক কর্মীদের বাঁচাতে হলে আন্দোলনের মাধ্যমে এদেরকে (সরকার) পরাজিত করা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। সেই লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্ব করেন এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের সঞ্চালনা করেন।
অনশনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, জয়নুল আবেদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।
এছাড়া অনশনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
অনশনে কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, লেবার পার্টির ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান সংহতি প্রকাশ করেন।