ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অপশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে এসেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের আর কোনো নির্বাচনী খেলা খেলতে দেওয়া হবে না। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে নেমে এসেছে। আমাদের এবারের লড়াই জীবন-মরণের লড়াই। এই লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সরকারের পদত্যাগসহ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে জোটের শরিক দল ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে শুক্রবার (১১ আগস্ট) গণমিছিল করছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা বিএনপি ওইদিন দুটি পৃথক গণমিছিল শুরু হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণমিছিলে বিএনপি, এর সহযোগি সংগঠন ও জোটের অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার বাদ জুম্মা বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা উত্তর বিএনপির ব্যবস্থাপনায় গণমিছিলে অংশ নিতে রাজধানীর বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে জড়ো হন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণমিছিল করে দলটি। বাড্ডা সুবাস্ত টাওয়ার থেকে আবুল হোটেল পর্যন্ত গণমিছিল করে ঢাকা উত্তর বিএনপি।
গণমিছিলের আগে, সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আমাদের একটাই দাবি—শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এ ছাড়া আমাদের আর কোনো দাবি নেই। আওয়ামী লীগ মনে করেছে এবারও তারা ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় টিকে যাবে। কিন্তু সেটা আমরা হতে দেব না। দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না।
আওয়ামী লীগ সরকার দেশের গণতন্ত্র, পার্লামেন্ট ও প্রশাসনকে ধ্বংস করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ তারা আমাদের বিচার বিভাগকেও ধ্বংস করে ফেলেছে। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে কি আমাদের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে? যাবে না।”
এসময় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। যতই কারাগারে ঢোকাও, যতই নির্যাতন, লাঠি চার্জ, টিয়ার গ্যাস মারো, শেখ হাসিনার পতন না ঘটিয়ে জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না।”
পরে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা বিএনপির গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন।
এ গণমিছিলের সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান। সাথে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক।