নভেম্বর ৩, ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম
বিএনপির আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ও তাদের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দলটির উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশ করে দলটি।
১০ নভেম্বরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করার আলটিমেটাম দিয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত ও প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে আন্দোলনরত সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
যে চারটি কর্মসূচি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক ৩ নভেম্বর মহাসমাবেশ থেকে ঘোষিত কর্মসূচী হলো
১) ১০ নভেম্বর ২০২৩-এর মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করে এবং জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে সকল নিবন্ধিত এবং প্রতিনিধিত্বশীল আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
২) বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারণে কারারুদ্ধ বিএনপিসহ সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতিকে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৩) সরকার এসব দাবি মেনে না নিলে, আন্দোলনরত সকল বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে কঠোর ও বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
৪) জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং অবৈধ সরকারের পতনের লক্ষ্যে বিএনপিসহ বিরোধী দল সমূহের সকল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করছি।
এদিকে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, আপনি বলেন আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন করেছে। ঐতিহাসিক এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে আপনার আব্বা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন। আজ ৩ নভেম্বর এই সরকারের মেয়াদ শেষ। এ জন্য আমরা আজকের তারিখে সমাবেশ করছি। পরিষ্কার ঘোষণা করছি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে, জাতীয় সরকার গঠন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল মোবারক, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হক আজাদ, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।