ডিসেম্বর ১২, ২০২৩, ১২:৩৩ পিএম
পিরোজপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় লালন ফকির (২৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে পিরোজপুর-১ আসনের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি হামলায় লালন গুরুতর আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার ডুমরিতলা গ্রামে।
তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল সোমবার রাতে এবং আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যার পর শারিকতলা-ডুমরিতলা ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় লালন ফকির ও তাঁর সহযোগীরা জড়িত বলে নৌকা মার্কার সমর্থকদের অভিযোগ। ওই রাতেই ২০-২৫ জন লোক লালনের মাথা, মুখমণ্ডল, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে খুলনা, পরে ঢাকায় পাঠানো হয়।
লালন হত্যার প্রতিবাদে গত রাতে শহরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থকরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তারা পিরোজপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী বর্তমান এমপি এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক বলেন, ‘লালন ফকির শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝির কর্মী ছিলেন। শুনেছেন, তিনি যুবলীগের কর্মী ছিলেন।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় হত্যামামলা প্রক্রিয়াধীন। পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা থেকে আটক করেছে।’