আছে ক্লাসরুম নেই শিক্ষার্থী। মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। লকডাউনে বন্ধ স্কুলের ভাড়া বহন করতে না পেরে নোটিশ দেয়া হয়েছিল স্কুল বিক্রির। তাহলে কিভাবে হলো এই অসাধ্য সাধন?
ফুলকুঁড়ি কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তকবির আহমদ বলেন, ‘করোনায় যখন মার্চ মাসে প্রথম লক ডাউন দেয়। তখন থেকে স্কুল বন্ধ। স্কুলের মাসিক বেতন ৩০০ টাকা। তবে করোনার কারনে সেটাও দেয়া বন্ধ হয় যায়। এখানকার বেশিভাগ শিক্ষার্থির বাবা মা খুবই গরীব, কেউ বাসায় কাজ করে, কেউ গাড়ি চালায়। এখানে মোট ১২ জন শিক্ষক আছে। তাদের নামে মাত্র সম্মানি দেয়া হয়। স্কুলের বাকি খরচ মিলে ১ লাখের মত যেটা চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এরপরে স্কুল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে বিবিসি বাংলা সহ অনেকেই নিউজ করে ‘
তিনি আরও জানান, ‘তাদের নিউজ দেখে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এখন তারা শিক্ষার্থিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সপ্তাহে তিন দিন করে পড়ান। ও এভাবে পরিক্ষাও নেয়। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর স্কুল সচল রাখতে আর্থিক সহায়তা দেন অনেকেই।’
করোনার অতিমারীর প্রথম ঢেউয়ে যখন বন্ধ হয়েছিল সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম। সারাদেশ তখন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও ব্যাতিক্রম ছিল ফুলকুঁড়ি কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুল।
এখানকার বেশীর ভাগ শিক্ষার্থীরই নেই স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেট সংযোগ। তবু বন্ধ থাকেনি পাঠদান। শিক্ষার্থীদের অটোপাশ না করিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে নেয়া হয় তাদের মান উন্নয়নের পরীক্ষা।
ফুলকুঁড়ি কিন্ডার গার্ডেন এন্ড হাই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, এই ব্যাবস্থা না হলে শিক্ষার্থিরা পড়াশুনা ভুলে যেত অনেকেই ঝড়ে পড়ত।