নভেম্বর ৪, ২০২১, ০৫:০২ পিএম
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের (আইসিটি অ্যাক্ট) মামলা দায়ের হলে তাৎক্ষণিকভাবে যেন সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা না হয় সে ব্যাপারে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। আপিল শুনানির আগে চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা হলেই যাতে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা না হয়, বিষয়টি তাকে বলেছি। তিনিও এতে সায় দিয়েছেন।’
বাক স্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য এ আইন করা হয়নি জানিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিষয়ে একটি কথা আমি পরিষ্কার বলতে চাই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি আইন। এটি বাকস্বাধীনতা বা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য এ আইন করা হয়নি, এটা বারবার বলব।
তিনি বলেন, ‘আমরা বড় কঠোর হবো এই অ্যাক্টের অপব্যবহারের বিষয়ে। আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই, যেই এটার অপব্যবহার করবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও আমরা ব্যবস্থা করছি।’
এই আইনে মামলা নেওয়া হবে কি না, সেটা এর আগে যাচাই করতে হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই অ্যাক্টে মামলা করলেই যে মামলা নিয়ে নেবে তা হবে না। এটা আইসিটি অ্যাক্টের একটি ধারা আছে সেই অনুযায়ী একটি সেল আছে সেই সেলকে সন্তুষ্ট হতে হবে যে এটা মামলা হয়। তারপরেই মামলা হবে।
আপিল শুনানির আগে চুয়াডাঙ্গায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে আনিসুল হক বলেন,তাঁর কাছে যে তথ্যাদি আছে সেটার সাথে প্রকাশিত খবরের মিল নেই।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সব প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয় জানিয় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, তাদেরকে বিচারিক আদালতে মৃত্যুণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে তাদের মৃত্যুণ্ডাদেশ 'কনফার্ম' করা হয়েছিল। এরপর তারা জেল আপিল করেছিলেন। এই জেল আপিলের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ বিচারিক আদালত ও হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখেন। সবশেষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীগণ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পর তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সুতরাং আপিল শুনানির আগে তাদের মৃত্যুণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে, এ কথাটি কিন্তু সঠিক না।