আগামী জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ হবে বলে শঙ্কিত বিএনপি: শেখ হাসিনা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ হবে বলে বিএনপি শঙ্কিত-এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে বিএনপি অভ্যস্ত। নিউইয়র্ক সফরে “‘বন্ধুত্ব; বাংলাদেশের জন্য বন্ধুত্ব নিয়ে ফিরছি।”বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে শনিবার স্থানীয় সময় সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “এখন এই যে যখন একটা স্বচ্ছ নির্বাচন হবে, এটা আসলেই আমার মনে হয় তারা শংকিত। কারণ চুরি করে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়া আর ওই যে এক কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার লিস্টে রেখে ভোট করা- এই সুযোগ পাচ্ছে না বলেই বোধ হয় নির্বাচন নিয়ে তাদের এত শঙ্কা। নইলে শঙ্কা করার কিছু নেই।”

নির্বাচনে জিততে পারবে না বলেই বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে আসেনি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি  বলেন,  “২০১৪ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি সেটা তো তার দলের সিদ্ধান্ত। তারা করে না এজন্য, কারণ তারা জানে যে একটা সঠিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে পরে তাদের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা থাকে না। কারণ তারা তো হত্যা-কু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে অভ্যস্ত; এটা হল বাস্তব।”

আওয়ামী লীগই মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, “নির্বাচন থেকে মানুষের ভোটের যে অধিকার সে অধিকারটা যেন নিশ্চিত হয় সে ব্যবস্থা আমরাই নিয়েছি।”

এসময় তিনি আরও বলেন, “জনগণের ভোট চুরি করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় কোনদিনই আসেনি। আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই এসেছে।”

নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নকারীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আজকে প্রশ্ন করে নির্বাচন নিয়ে, তাদের হল অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর দ্বারা সৃষ্ট দল; জনগণের ভোট নিয়ে কখনো ক্ষমতায় আসতে পারেনি। কাজেই তারা যদি প্রশ্ন করে সেই প্রশ্নটা এত গুরুত্ব দেওয়ার কি আছে আমি জানিনা।”

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ কাজ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন,  “আওয়ামী লীগ এ দেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছে- মানুষের ভোটের অধিকার, মানুষের মৌলিক চাহিদার অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আওয়ামী লীগ সারা জীবন সংগ্রাম করেছে।”

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “ইভিএম একটা আধুনিক পদ্ধতি; পৃথিবীর বহু দেশে ব্যবহার হয়। আমরাও দেখেছি যেখানে যেখানে ব্যবহার হয়েছে সেখানে খুব রেজাল্ট পাওয়া গেছে এবং মানুষ তার ভোটটা স্বাধীনভাবে দিতে পেরেছে। তারপরও এর বিরুদ্ধে অনেকে আছে এটাও ঠিক; যাইহোক আমার কথা হচ্ছে আজকে নির্বাচন যতটুকু স্বচ্ছতা পেয়েছে এটা কিন্তু অতীতে ছিল না।”

নিউইয়র্ক সফর নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সরকারপ্রধান বলেন, ‘বন্ধুত্ব; বাংলাদেশের জন্য বন্ধুত্ব নিয়ে ফিরছি।”

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে উন্নয়নের বিষ্ময় এটাই সবাই বলতে চেষ্টা করেছেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা শান্তি চাই; যুদ্ধ চাইনা, সংঘাত চাইনা। এই বার্তাটা আমি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি সেটাই হচ্ছে আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় কথা এবং সকলেই বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে এবং আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।’

• বিষয় :
• শেখ হাসিনা