চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা ৪৯ নয়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
সোমবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে মরদেহ বহনকারী ব্যাগের সংখ্যা ৪৯টি হলেও মূলত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৪১ জনের। আগের তথ্য ভুল ছিল বলেও জানান তিনি।
এদিকে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত শনিবার রাতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ আজ সোমবার তৃতীয় দিন চলছে। তারপরও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিতরা।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সূর্যের আলো নিভে যাওয়ার সাথে সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে কর্মরতদের কাজেও ক্লান্তি নেমে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের কেউ কেউ বসে আছেন, আবার কেউ আড্ডা দিচ্ছেন। তাদের প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে এখনও বেশ কয়েকটি কনটেইনার দাউ দাউ করে জ্বলছে।
এদিকে, সারাদিন খোলা রাখলেও সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে বন্ধ করে দেয়া হয় ডিপোর গেট। শুধুমাত্র পানি লাগলেই গেট খোলা হচ্ছে। গেট খোলার পর দেখা যায়, ভিতরে যে যার মতো সময় পার করছেন। কয়েকজনকে পানি দিতেও দেখা গেছে। তবে সবই ঢিলেঢালা ভাবে করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, টানা কাজ করতে করতে বেশ কয়েকজন দমকলকর্মী ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। ডিউটি ভাগ করে দেওয়ার পরও আগুনের মাত্রা অতিরিক্ত থাকায় দমকলকর্মীরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
প্রসঙ্গত, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোতে প্রথমে একটি কনটেইনারে আগুনের সুত্রপাত হয়। পরে আরও কয়েকটি কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। প্রথমে কেমিক্যাল কনটেইনার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আগুন ছড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত দুই শতাধিক কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।