পুরান ঢাকার নিম্ন আদালত এলাকায় এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি একটি শুনানি শেষ করে চেম্বারে ফিরছিলেন। আদালত চত্বরেই তিনি হঠাৎ ঢলে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই আইনজীবীর নাম শফিউল আলম ওরফে আলাউদ্দিন।
প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী সাঈদ আহম্মেদ জানান, শফিউল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে শুনানি শেষে চেম্বারে ফিরছিলেন। সেখান থেকে যাওয়ার পথে কোর্ট চত্বরে পৌছালে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। আমরা তৃতীয়তলা থেকে নামতে নামতে তাঁকে আদালত চত্বরের লোকজন ধরে আদালতের ইমার্জেন্সি মেডিকেল সার্ভিসে নেন। পরে সেখান থেকে স্থানীয় ন্যাশনাল মেডিকেলে পাঠিয়েছি। জানতে পারলাম এর কিছুক্ষণ পরে শফিউল মারা গেছেন। অতি গরমে হিটস্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী অপর আইনজীবী মো. ওসমান গণি গণমাধ্যমকে জানান, দুপুরে শফিউল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে শুনানি শেষে চেম্বারে ফিরছিলেন। হঠাৎ মেট্রোপলিটন বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। তখন উপস্থিত আইনজীবীরা তাঁকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির মেডিকেলে নিয়ে যান। এরপর অবস্থার আরও অবনতি হলে পার্শ্ববর্তী ন্যাশনাল মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির মেডিকেলে কর্মরত চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, অতি গরমে হিটস্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের বলেন, সাধারণ আইনজীবীদের মুখে শুনেছি হিটস্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ মেডিকেল রিপোর্ট পেলে জানা যাবে।
সাধারণ আইনজীবীরা বলছেন, তীব্র দাবদাহের মধ্যে কোট-গাউন পরার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। আইনজীবীরা দীর্ঘদিন ধরেই গ্রীষ্মকালীন ড্রেসকোড পরিবর্তনের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যেই এই আইনজীবীর মৃত্যু হলো।
শফিউল আলমের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলায়। তিনি ২০২১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বিকেল ৪টায় ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে তাঁর প্রথম জানাজা হবে।