আবারও বেঁকে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দাড়িয়াপুরে সেই রেল লাইন। এরফলে ঢাকামুখী ট্রেন যোগাযোগ আবারও বন্ধ হয়েছে। দুদিন আগেই তীব্র গরমে রেললাইন বেঁকে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল সেখানে। সেই এলাকাটিতে লাইন মেরামতের ২৪ ঘণ্টা পরে আবার একই ঘটনা ঘটল। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেটের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার স্থানীয়রা জানান, এবার লাইনের সমস্যাটি আগেভাগেই ধরা পড়েছে। এরপর সতর্কতার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে ওই লাইনে ঢাকামুখী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে এখন দুটি রেল লাইন থাকার কারণে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেটগামী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরতলীর দাড়িয়াপুরে রেল লাইন বেঁকে যাওয়ার পর ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহরতলীর দাড়িয়াপুরে রেল লাইন বেঁকে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম।
এরপর থেকে ঢাকার পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে কতগুলো বা কোনো ট্রেন আটকা পড়ে আছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি তার। তবে একটি লাইন বন্ধ থাকলে ট্রেনে সময় বিপর্যয় একটি সাধারণ ঘটনা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ঠিক একই জায়গাটি অতিক্রম করার সময় কন্টেইনারবাহী একটি ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ট্রেনে সময় বিপর্যয় ঘটে। তখন স্টেশন ম্যানেজার জানিয়েছিলেন, গরমের কারণে লাইন বেঁকে যাওয়াই ছিল এই দুর্ঘটনার কারণ। দুর্ঘটনার পরের দিন শুক্রবার লাইন মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দুর্ঘটনার দিন মোবাইল ফোনের বিভিন্ন অ্যাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখা যায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, দুই দিন পর শনিবার তা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে যেখানে রেল লাইন অবস্থিত, সেখানে তাপমাত্রা অনুভূত হয় আরও বেশি।
সারাদেশে ঈদের আগে বিভিন্ন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ছুঁই ছুঁই বা তারও চেয়ে বেশি। সে সময় লাইন বেঁকে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়নি।