পুলিশ কর্মকর্তা মামুন এমরান খান হত্যা মামলার আসামি দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশি স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো নোটিশ গ্রহণ করে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ইন্টারপোল।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
আইজিপি বলেন, “কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, বনানীতে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে সে নামে তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারপোল রেড অ্যালার্ট জারি করেছে।”
আরাভ খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ পুলিশের প্রধান আরও বলেন, “তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি নিয়ে সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছি না। তারকারা কী কারণে সেখানে গিয়েছেন সে বিষয়টি আগামীতে স্পষ্ট হবে। অনেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যায়। এসব বিষয় আমরা অবজার্ভ করছি।”
আরাভ খানের সাথে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সম্পর্কের খবর একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি এক সাংবাদিক নজরে আনলে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, “এটা আমাদের নলেজে আসছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। খতিয়ে দেখে উপযুক্ত সময়ে আমরা জানাবো।”
প্রসঙ্গত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গত বুধবার এক জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধন করেন আরাভ খান। উদ্বোধন উপলক্ষে ৬০ কেজি সোনা দিয়ে বানানো হয় বাজপাখির আদলে লোগো, যা তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ৪৫ কোটি টাকা। ওই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়া ও বিনোদনজগতের অনেক তারকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দেন আরাভ খান।
পুলিশ জানায়, আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন রবিউল। দেশ থেকে পালিয়ে রবিউল ইসলাম প্রথমে ভারতে যান। সেখানে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাইয়ে চলে যান। এখন তিনি দুবাইয়ের বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ী।