কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ এবং বাংলাদেশকে নিয়ে করা প্রতিবেদন ফেসবুক ও ইউটিউব থেকে সরানোর বিষয়ে মতামত জানতে ছয়জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছে হাইকোর্ট। বুধবার এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ছয় অ্যামিকাস কিউরি হলেন- এজে মোহাম্মদ আলী, কামালুল আলম, আবদুল মতিন খসরু, ফিদা এম কামাল, শাহদীন মালিক ও প্রবীর নিয়োগী।
শুনানি চলাকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত বলেছেন, বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষ এরইমধ্যে আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি দেখেছেন। বিটিআরসি এতদিন কী করল, আপত্তিকর কিছু সম্প্রচার বন্ধের বিটিআরসির ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেন আদালতের কাঁধের ওপর বন্দুক রাখা হচ্ছে? এখন এগুলো বন্ধ করা না করা সমান।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আনামুল কবির ইমন সোমবার বাংলাদেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ ও ফেসবুক-ইউটিউব থেকে বিতর্কিত প্রতিবেদন সরানোর বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেন। গতকাল সকালে আবেদনকারী নিজেই রিট আবেদনটি আদালতের নজরে এনে দ্রুত শুনানির আরজি জানান। তিনি বলেন, এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই দ্রুত শুনানি করা প্রয়োজন।
এ সময় আদালত বিকেল পৌনে ৪টায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন। বিকেলে আদালত আজ সকাল ১১টায় সময় নির্ধারণ করেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরায় সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদন ইউটিউব, টুইটার, ফেসবুকসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে সরানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। এতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, পুলিশের আইজিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিবাদী করা হয়েছে।