আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙ্গার ঘটনা তদন্ত হবে:সংসদে প্রধানমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৮:৪৮ পিএম

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ভাঙ্গার ঘটনা তদন্ত হবে:সংসদে প্রধানমন্ত্রী

সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায়  নির্মিত উপহারের ঘরগুলো ভেঙ্গে ফেলার ঘটনা তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলেও তিনি সতর্ক করেন। 

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা বলেন, ‘আমি দুর্নীতি দমন কমিশনকে বলব,৩০০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রত্যেকটার তদন্ত তাদের করতে হবে। তাদের রিপোর্ট দিতে হবে। এটাই আমার কথা। তাদের রিপোর্ট দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই এখানে দুর্নীতি করলে আমি সেই দুর্নীতি মানতে রাজি নই। গরিবকে ঘর করে দেবো, সেখান থেকেও টাকা মেরে খাবে?’

দুর্নীতি দমন কমিশন কেন তদন্ত বন্ধ করবে প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাদেরকে তদন্ত চালু রাখতে হবে। তদন্ত করে দেখতে হবে,যারা ভাঙল তারা কারা? তাদের উদ্দেশ্যটা কী ছিল? তারা কেন ভাঙল? দুর্নীতি দমন কমিশন যদি তদন্ত করে থাকে,করতেই হবে।

আগামীতে উপহারের ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন কৌশল নেয়ার কথা জানিয়ে  সরকারপ্রধান বলেন,  কংক্রিটের পিলার ও স্টিলের ফ্রেম দিয়ে ঘর করে দেওয়া হবে, যাতে চট করে ভাঙতে না পারে।

সংসদ নেতা বলেন, ‘আমরা তদন্ত করেছি। দেখা গেছে ৯টি জায়গায় আমরা দুর্নীতি পেয়েছি। ১০/১২ জায়গায় যেখানে অতিবৃষ্টি হলো সেখানে বৃষ্টির কারণে মাটি ধসে ঘর পড়ে গেছে। সেখানে কিন্তু আরও অনেক ঘর ছিল।’

৩০০টি স্থানে পরিস্থিতি ভিন্ন ছিল বলে সংসদকে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর ৩০০টি জায়গায়,যেখানে প্রত্যেকটি ঘরের ছবি আমার কাছে আছে, পুরো তদন্ত করে দেখা গেছে সেখানে দরজা-জানালার ওপর হাতুড়ির আঘাত। ফ্লোরগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভাঙা। প্রশ্ন উঠবে জানলে ছবিটা নিয়ে আসতাম। আগামীতে ছবি দেখাব।'

সংসদ নেতা  বলেন ‘ইটের গাঁথুনি,পিলার সেগুলো ভেঙে ফেলে দেয়া হয়েছে। এটা তো দুর্নীতির জন্য হয়নি। এটা কারা করল? তবে হ্যাঁ, কারা করেছে তদন্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু অ্যারেস্টও হয়েছে। তাদের অ্যারেস্ট করা হবে, ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জিয়ার লাশ পাওয়া যায়নি,বাক্স সাজিয়ে ঢাকায় আনা হয়

জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বিএনপি ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কেও কথা বলেন।

সংসদ নেতা বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমানের লাশের নামে চট্টগ্রাম থেকে একটি বাক্স সাজিয়ে-গুছিয়ে আনা হয়েছিল। ওই বাক্সে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না, এ বিষয়টি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকত ও তৎকালীন সেনাপ্রধান মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বীকার করেছেন।’’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘‘তখন এ পার্লামেন্টে বারবার প্রশ্ন এসেছে, যদি লাশ পাওয়া যায় তার ছবি থাকবে না কেন? লাশ শনাক্ত করেছিল মীর শওকত। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে চিনতাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সত্যি কথা বলেন তো? বলেছিলেন, লাশ কোথায় পাবো? জেনারেল এরশাদ সাহেবকে আমি বললাম, আপনি যে একটা বাক্স আনলেন? লাশটা কই? আমাকে তিনি বললেন, বোন লাশ পাব কোথায়? আর কী বলব।’’

খালেদাকে নিয়ে জিয়া আমাদের বাড়ি গিয়ে বসে থাকতো

সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান তো খালেদা জিয়াকে নিয়ে মাসে একবার করে আমাদের বাড়ি গিয়ে বসে থাকতো।’’

বিশ্বাসঘাতকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হ্যাঁ আমাদের দলে বেইমান তো ছিলই। খন্দকার মোস্তাক-টোস্তাকরা তো ছিলই। এটা তো অস্বীকার করি না। আমাদের বাড়ির ভাত কার পেটে না গেছে।’

Link copied!