সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ০২:৩৯ পিএম
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারে’র ঘর দুর্বৃত্তরা হাতুড়ি-শাবল দিয়ে ভেঙে তা মিডিয়ায় প্রচার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা ঘর ভেঙেছে তাদের নামের তালিকাসহ তদন্ত প্রতিবেদন তার হাতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে ঘর দিবো, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের যে তারা তা সহ্য করতে পারলো না। তারা সেটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি শুরু করলো। আমি কয়েকটা জায়গায় হঠাৎ দেখলাম ঘর ভেঙে পড়ছে। বিভিন্ন এলাকার ভাঙা ছবি ইত্যাদি দেখার পরে পুরো সার্ভে করালাম কোথায় কি হচ্ছে’।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘যেখানে আমরা প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর তৈরি করেছি সেখানে বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে যেয়ে হাতুড়ি, শাবল দিয়ে প্রায় ৩০০ টি ঘর ভেঙে মিডিয়ায় সেগুলোর ছবি দিচ্ছে। তাদের নাম ধাম তদন্ত করে বের করেছি আমরা। আমার কাছে পুরো রিপোর্টটা আছে’।
ঘর ভেঙে পড়ার পেছনের কারণ মিডিয়া অনুসন্ধান করেনি অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে, কিন্তু এটা কিভাবে হলো তার কারণ তারা অনুসন্ধান করে না’।
তদন্তে ৯টি জায়গায় দুর্নীতি পাওয়া গেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক জায়গায় ৬০০ ঘর সেখানে হয়তো ৩/৪ টা ঘর ভেঙেছে। তারপর প্রবল বৃষ্টিতে মাটি ধ্বসে কয়েকটি ঘর নষ্ট হয়েছে। এরকম মাত্র ৯টি জায়গায় আমরা দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি।
আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি যে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের ইউএনও-ডিসিসহ সমস্ত কর্মচারীদের অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য’।
তিনি বলেন, ‘যারা ইট তৈরি করে তারাও এগিয়ে এসেছে। অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে সহায়তা করেছে। এভাবে সবাই। কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধির কিছু লোক এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। এটা গরিবের ঘর, সেখানে তারা হাত দেয় কিভাব ‘?