কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেয়ে তাকে নিয়ে আলোচনায় মনোযোগ বেশি দেওয়া হচ্ছে। টানাহ্যাঁচড়া হচ্ছে পরিবারকে নিয়েও। মৃত্যুর ১১ দিন পরও অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ না করাটা হতাশার। মোসারাতের বোন ও মামলার বাদী নুসরাত জাহান গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেছেন।
গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৬ এপ্রিল কলেজছাত্রী মুনিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই রাতেই মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে গুলশান থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। ওই মামলায় একমাত্র আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গুলশানের ফ্ল্যাটে গিয়েই পুলিশ আঁচ করতে পারে, মোসারাতের মৃত্যুর পেছনে ‘বড় প্ররোচনা’ আছে। তারা ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
তবে মুনিয়ার বোন গণমাধ্যমকে বলেছেন, পুলিশ নিজেই বলছে আত্মহত্যায় বড় প্ররোচনা আছে, কিন্তু প্ররোচনাকারীকে এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এমন কোনো খবর তার কাছে নেই। তবে বুধবার তাকে আবারও পুলিশ ঢাকায় ডেকে পাঠায়। তিনি ও তার এক আত্মীয় কী ঘটেছিল তা পুলিশকে জানান। পুলিশ তাদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেছে। বেশ কয়েকটি নাম উল্লেখ করে পুলিশ জানতে চেয়েছে, মুনিয়া তাকে চিনতেন কি না। নুসরাত দুঃখ করে আজ বলেছেন, ‘কবরে কে পাঠাল সে নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। আলোচনা ষষ্ঠ শ্রেণিতে মুনিয়া কী করেছিল, দশমে কী, মৃত্যুর আগে কী। আমিও বাদ যাচ্ছি না। এসব আলোচনা কি এই মামলায় কোনো কাজে আসবে?’
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান শুক্রবার একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না।