বাবার সাথে কোরবানির ঈদে আগেই বাড়ি যাবে বলে পরিকল্পনা করেছিল মিতু আক্তার (১৮)। বাবা বিল্লাল হোসেন পাশেই এক গার্মেন্টস কারখানায় ড্রাইভার ছিলে। বড় বোনও কাজ করত হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজে। ঈদের ছুটিতে পাত্রপক্ষও দেখতে আসার কথা ছিল। কিন্তু সব উৎসব এখন শোকে পরিণত হয়েছে।
পাগল প্রায় পিতা
কারখানার সামনেই মেয়ের শোকে বিলাপ করছে মিতু আক্তারের বাবা বিল্লাল হোসেন। সকালে গেট ভেঙ্গে মূল কারখানায় ঢুকছে। দোতলায় আগুন লাগছে বলে জানায় তিনি। তিনি বলেন, সবাই বলে লাশ পাব লাশ পাব কিন্তু কেউ লাশের দেখা দেয় না। বাড়িতে ওর দাদিরে জানাইছি এবার দুদিন আগেই ফিরব। মাইয়ারে বিয়ার জন্য দেখতে আসে অনেকেই। সন্ধ্যা ৭ টায় দাদি ফোন দিয়া কয় কিছুক্ষণ আগে মাইয়া ঠিক ছিল। এর মধ্যেই কি হইয়া গেল।
মেয়ের ছবি (বামে) নিয়ে আহাজারি করছেন বিল্লাল হোসেন।
বড় মেয়ে আগেই বের হয়েছে
বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ে হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজে কাজ করত। বিকেলে বড় মেয়ে কাজ শেষে ফিরলেও ছোট মেয়ে ওভারটাইম কাজ করতে থেকে যায়। চতুর্থ তলায় চকলেট প্রস্তুতের কারখানায় কাজ করতেন তিনি। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত পড়াশুনা করার পরই ড্রপ আউট হয় মিতু আক্তার। তারপর বড় বোনের সুবাদে হাসেম ফুডে কাজ নেয় তিনি।