মার্চ ১৪, ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম
হাইকোর্ট জানাল, ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে হজের যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে তা ‘অমানবিক।’ আদালত বলেছে, বিমানের লোকসানের দায় হজ যাত্রীদের ওপর চাপাতে পারে না।
হজের খরচ কমানোর নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানির সময় আজ মঙ্গলবার এসব মন্তব্য করেছেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ সময় উচ্চ মূল্যের এই প্যাকেজের সাথে যারা জড়িত তারা ‘গুনাহর ভাগীদার’ হবেন বলেও মন্তব্য করে আদালত।
রিট শুনানিকালে আদালত আরও জানায়, মালেশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার হজ ফান্ড আছে। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার ফান্ড কম। একমাত্র বঙ্গবন্ধু এ বিষয়ে চিন্তা করেছিলেন। তারপরে এ বিষয়ে কেউ চিন্তা করেননি।
সৌদি ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বাইরে অন্য যেকোনো এয়ারলাইন্সের টিকেট কেনার সুবিধা না থাকার বিষয়ে আদালত জানায়, এখানে ব্যবসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো. মহসীন, অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান খান, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। টাকার পরিমাণ কমিয়ে আবার প্যাকেজ ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ মার্চ রিট দায়ের করেন হাইকোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান।
রিটে ধর্ম সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৬ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য সংশোধন করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ নোটিশ পাঠান।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। অন্যদিকে কোরবানি ছাড়াই এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। আগের বছর এটি ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে দেড় লাখ টাকা বেড়েছে।