উজরা জেয়ার ঢাকা সফর নিয়ে যা জানাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জুলাই ৮, ২০২৩, ০৬:২৮ পিএম

উজরা জেয়ার ঢাকা সফর নিয়ে যা জানাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

বাংলাদেশ ও ভারত সফর শুরু করছেন বেসামরিক নিরাপত্তা,গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি এবং  তিব্বত বিষয়ক বিশেষ সমন্বয়ক উজরা জেয়া।

 সফরের প্রথম পর্বে শনিবার (৮ জুলাই) ভারত যাচ্ছেন তিনি। দিল্লি সফর শেষে  ১১ জুলাই  ঢাকায় পৌঁছবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই আন্ডার সেক্রেটারি।

উজরা জেয়ার নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধি দলও থাকবে। প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইড’র এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর থাকবেন। ঢাকাস্থ মাার্কন দূতাবাস বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

সফরকালে উজরা জেয়া বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন নাগরিক সমাজ, সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করবেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার(৭ জুলাই) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট’র এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উজরা জেয়া ভারতে দেশটির উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অভিন্ন সমাধান, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আরও কীভাবে গভীর এবং টেকসই করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশ ও ভারত সফরকালে উজরা জেয়া দুই দেশের বেসামরিক নাগরিক সমাজ এবং নিরাপত্তাহীনতায় থাকা সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায় ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জাতি, প্রতিবন্ধী ও দূর্বল জনগোষ্ঠীর সাথে মতবিনিময় করবেন বলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওই বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সফরকালে উজরা জেয়া নাগরিক সমাজের সংগঠনের সঙ্গে মতপ্রকাশ ও সমাবেশের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, রোহিঙ্গা সংকট, শ্রম ইস্যু, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করবেন বলেও মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ওই বিবৃতিতে বলা হয়।

এদিকে, ভরত সফর শুরু করার আগেই স্থানীয় সময় শুক্রবার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সাথে বৈঠক করেছেন উজরা জেয়া। বৈঠক শেষে এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায্য শ্রম চর্চা এবং মানবিক সহযোগিতা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানকে ধন্যবাদ। আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্বকে আরও গভীর করতে আগ্রহী।”

Link copied!