এই সরকারের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ১০, ২০২২, ০২:২৫ পিএম

এই সরকারের অবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ হবে: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের ক্ষমতাসীন সরকারের পরিণতি শ্রীলঙ্কার সরকারের চেয়েও ভয়াবহ হবে। আজ মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। যৌথ সভা শেষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে শ্রীলঙ্কা সরকারের ভয়াবহ পরিণতির কথা মনে করিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এই সরকার শিক্ষা নিতে জানে না। তাহলে ১০ বছরে শিক্ষা নিতে পারত। কোনো শিক্ষা নেয়নি। এদের চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বর্তমানে হাসিনার অবৈধ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। এর মধ্যে ফাঁকফোক বা কোনো কিন্তু নেই। এ সরকারকে যেতে হবে। ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ৩০০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হবে। এ প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “এই সরকার নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যে পুরোপুরি জড়িত আছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, এটাই তার বড় প্রমাণ। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেন, ৩০০ আসনে ইভিএম দিয়ে নির্বাচন হবে? এই দায়িত্ব তো পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের। এটা দিয়ে প্রমাণিত হয়, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে দেশে নির্বাচনব্যবস্থা, অর্থাৎ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হচ্ছে।”

দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা বলেছিলেন, “ঈদের পর আন্দোলন কী দেখিয়ে দেওয়া হবে। ঈদ শেষে আন্দোলনের ঘোষণা আসবে কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি আয়োজন আন্দোলনের অংশ। এই যে আমরা সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচি দিয়েছি। শাহাদতবার্ষিকীও আন্দোলনের অংশ। আপনারা এত অস্থির হবেন না। আপনারা যেটা দেখতে চান, তা খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে টানা আন্দোলন চলছে। আমরা দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনের মধ্যেই আছি।”

দুই ইস্যুতে ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টানা ৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। ৩০ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১২ মে ঢাকা মহানগরে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ। একই ইস্যুতে ১৪ মে সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে দুপুর ১২টায় যৌথ সভা শুরু হয়। এ ছাড়া বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!