প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে সদ্য স্বাধীন দেশে সরকার পরিচালনায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা হারাল বলেও শোকবার্তায় উল্লেখ করেন মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি এইচটি ইমামের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে শোক বার্তায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের প্রশাসনিক সার্ভিসে এ এইচ টি ইমামের অবদান ‘স্মরণীয়’ হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের পুরো সময়টাও তিনি একই পদে থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এইচ টি ইমাম ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তায় বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে জনাব ইমাম প্রশাসনিক উপদেষ্টা হিসেবে এবং ২০১৪ সাল থেকে আমৃত্যু রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে অত্যন্ত প্রজ্ঞার সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সেবক হিসেবে কাজ করেন। জাতির পিতার আদর্শের এই কর্মী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসেবে দলকেও সমৃদ্ধ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করা বর্ষীয়ান এই উচ্চপদস্থ আমলা ১৯৩৯ সালে জন্মেছিলেন টাঙ্গাইলে। তার পৈতিক নিবাস সিরাজগঞ্জ। উল্লাপাড়া আকবর আলী সরকারি কলেজ মাঠে সকাল ১১টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে এইচ টি ইমাম সমাহিত হবেন বনানী কবরস্থানে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এইচ টি ইমামকে প্রথমে জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সাল থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।