কান্নার আওয়াজ থামতে না থামতেই আবারও কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাতে জেলার টেকনাফ ও মহেশখালীতে পৃথক পাহাড় ধসে একই পরিবারের ৫ জনসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা কাম্পে পাহাড় ধসে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হল।
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক এলাকায় বুধবার (২৮ জুলাই) রাত ৩টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন-হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ভিলেজার পাড়ার বাসিন্দা বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে আব্দুস শুক্কুর (১৬), মো। জুবায়ের (১২), আব্দুল লতিফ (১০), মেয়ে কোহিনূর আক্তার (১৪) ও জয়নাব আক্তার (৮) ।
স্থানীয় ও টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত তিনদিনে টানা বর্ষনে জেলার ২০টি ইউনিয়নের ৭০টি গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী জানান, প্রবল বর্ষণকালে পাহাড়ের খাদে অবস্থিত বাড়িতে পাহাড়ের খন্ড ধসে পড়ে। এতে মাটির নিচে চাপা পড়ে যায় ওই এলাকার সৈয়দ আলমের ঘুমন্ত ৫ সন্তান। সকালে প্রথমে দুইজন ও পরে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মাটি চাপা পড়ে দুই জন আহত হয়েছে।
অপর দিকে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান দ্য রিপোর্টকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে হোয়ানক ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজোয়ার ঘোনা গ্রামে পাহাড় ধসে পড়ে এক বৃদ্ধ মারা গেছেন।
এদিকে, সোমবার ও মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) ভারী বৃষ্টির কারণে এর আগে ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা কাম্পে পাহাড় ধসে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ওই পাহাড় ধসের ঘটনায় আরও ২জন আহত হন।
পাহাড় ধসে নিহতরা হলেন-উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরের জি/৩৭ ব্লকের শাহ আলমের স্ত্রী দিলবাহার (৪২) ও ৯ বছরের সন্তান শফিউল আলম। একই ক্যাম্পের জি/৩৮ ব্লকের ইউসুফের স্ত্রী দিলবাহার (২৫) ও তার দুই সন্তান আড়াই বছরের শিশু আব্দুর রহমান ও এক বছর বয়সী আয়েশা সিদ্দিকা। এ সময় শাহ আলমের দুই সন্তান নুর ফাতেমা (১৪) ও জানে আলম (৮) আহত হয়। তবে পানিতে ডুবে যাওয়া রোহিঙ্গার পরিচয় জানা যায়নি।