হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়ে কোনো কাজি পড়াননি। এই দুই বিয়েতে কোনো কাবিননামা ও দেনমোহরও ছিল না। মামুনুলের দাবি করা এক স্ত্রীর করা ধর্ষণের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তিন দিন এ মামলায় রিমান্ডে ছিলেন মামুনুল।
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে মামুনুল
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক তিনটি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু ধর্ষণ মামলার বাদী ও অপর এক নারীকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না। কাবিননামা বা দেনমোহরও ছিল না বলে জানিয়েছেন মামুনুল। এই দুই স্ত্রীর একজনের বাড়ি ফরিদপুর, যিনি মামলার বাদী আর আরেক স্ত্রীর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।
পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
৬ মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ছয়টি মামলায় মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলা পুলিশ এবং অপর তিনটি মামলা সিআইডি ও পিআইবি তদন্ত করছে। নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম বলেন, সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রির্সোটে ভাংচুর, যুবলীগ নেতার বাড়িতে হামলা ও তার কথিত স্ত্রীর করা ধর্ষণ ও প্রতারণার তিনটি মামলায় নয় দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে মামুনুল হককে।
পুলিশ সুপার জানান, এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের হরতালে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাড়কের নারায়ণগঞ্জের শিমরাইলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় অপর তিনটি মামলায় মামুনুল হকের আরও ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা আছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিবিআই ও সিআইডি পুলিশ ৯ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।