কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টা থেকে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে এই ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিটির ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রে চলবে।
নানা কারণে দেশব্যাপী এই সিটির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশন কাজী হাবিবুল আউয়াল দায়িত্ব নেওয়ার চার মাসের মধ্যে এই প্রথম ভোট নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৩ হাজার ৬০৮ সদস্য। তারা নগরীতে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে ৭৫টি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছেন। এছাড়া, নির্বাচনে ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র্যাবের টিম, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নয়জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করছেন।
এবারে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন িনির্বাচনে মেয়র পদে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুই বারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ প্রার্থী।
অপরদিকে, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী আছেন ভোটের মাঠে। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দু'জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কুসিকের মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন দুজন।