জুলাই ২০, ২০২৩, ০৬:৫১ পিএম
ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পথে কেরালা রাজ্যের ব্যস্ততম কোচি বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশি এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ওই বাংলাদেশি যুবকের নাম অপূর্ব রায় বলে জানিয়েছে ভারতের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
কোচি পুলিশের বরাত দিয়ে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, অপূর্ব জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছে। বেঙ্গালুরু রাজ্যের রাজধানী কর্ণাটক আসার আগে তিনি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করেছেন।
ভারতের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপূর্বকে তল্লাশি করে তাঁর কাছ থেকে তাঁর ফোনে স্ক্যান করা একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং কর্ণাটকের একটি প্রাইভেট ব্যাংকের দুটি প্যান কার্ড পেয়েছে। এসব কার্ডের সবগুলোই অপূর্ব রায়ের নামে ইস্যু করা যেখানে বলা হয়েছে অপূর্ব বাংলাদেশের নাগরিক।
এছাড়াও তার কাছ থেকে ৩০০ ডলার, ৩ হাজার রুপি জব্দ করা হয়েছে। জালিয়াতি, ফরেন পাসপোর্ট অ্যাক্টের আওতায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে এরইমধ্যে মামলা দায়ের করেছে।
ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্মকর্তারা আরও জানান, অপূর্ব রায় আগে বেশ কয়েকবার আগরতলা ভ্রমণ করেছেন। ওই সময় তিনি জাল তথ্য ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন। পাসপোর্টে নিজের ঠিকানা হিসেবে অপূর্ব কর্ণাটকের ইয়াগির জেলার ভিমরায়ন গুড়িকে ব্যবহার করেছে।
এদিকে, ভারতীয় পাসপোর্টসহ বাংলাদেশি যুবক গ্রেফতারে দেশটির প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। পুলিশের সন্দেহ, এর পেছনে হয়তো কোনো এজেন্সি কাজ করছে। স্থানীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনার কঠোর তদন্ত হওয়া উচিত কারণ এ ধরনের ঘটনা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “অপূর্ব কেন কলম্বো যাচ্ছিল তা এখনো জানা যায়নি। তবে বিস্তারিত জানতে পুলিশ তাঁর বিষয়ে তদন্তে নেমেছে। ঘটনা তদন্তে রাজ্য পুলিশ ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার যৌথভাবে কাজ করছে। মামলার দায়িত্ব ক্রাইম ব্রাঞ্চকে দেওয়া হতে পারে বলে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যে জাল ঠিকানা দিয়ে অপূর্ব রায় ভারতীয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেম আমরা সেখানে তদন্তের জন্য লোক পাঠাবো। জাল তথ্যের পেছনে জড়িতদের আইনের আশ্রয়ে আনা হবেও বলেও ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
আমরা অপূর্বের দেওয়া জাল ঠিকানায় তদন্তের জন্য লোক পাঠাব এবং এ জাল তথ্যের পেছনে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’