বাংলাদেশে গুম সংস্কৃতির প্রবর্তক খুনি জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী কোরআন খতম, দোয়া ও অসহায়-দুস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “ইদানিং দেখছি বিএনপি-জামাত গুম নিয়ে কথা বলছে। গুম সংস্কৃতির প্রবর্তক খুনি জিয়া ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। আমি তার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বর্ডারে এগিয়ে দিয়ে আসার সময় আমার চাচীর মেজ ভাই, বাচ্চু মামাকে কর্নেল শাহরিয়ার তুলে নিয়ে যায় তাকে আর ফিরে পাওয়া যায় নাই।”
৭৫-এর মর্মন্তুদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গুমের রাজনীতি শুরু হয় উল্লেখ করে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “আমি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এখন তারা আবার গুমের কথা বলে। তাদের নেতা-কর্মীদের দেখা যায় কিছু দিন কোথাও গা ঢাকা দিয়ে থাকে আবার হঠাৎ করে উদয় হয়। তখন তারা আবার এটা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।”
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, তারা (বিএনপি) ২০০১-২০০৬ সালে আমাদের কত নেতা-কর্মীকে গুম, হত্যা করেছেন তার হিসাব দিয়ে দেখেন তার পরে কথা বলেন। শেখ হাসিনার কাউকে গুম করার দরকার পড়ে না।”
কেন গুম করবে শেখ হাসিনা সরকার?-প্রশ্ন রেখে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার মানুষের অধিকারে বিশ্বাস করে এবং অধিকার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ সারা জীবন সংগ্রাম করে আসছে। আমাদের কোন গুমের রাজনীতি করার প্রয়োজন হয় না। আমরা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতিই করি “
‘আওয়ামী লীগ-যুবলীগের সৃষ্টি হয়েছিল দেশের দুঃখি দরিদ্র ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে’ উল্লেখ করে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা সেই রাজনীতিরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই এবং রেখে যাবো ইনশাল্লাহ। আপনারা জানেন আজকে বিরোধী মহল এই বিশ্বমন্দা ও সংকটময় পরিস্থিতি, করোনা উত্তরণের প্রাক্কালে, দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধিসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে তারা খেলার চেষ্টা করছে। এটাই তাদের চরিত্র। এটা সবসময় হয়ে আসছে।”
দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করলেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়-মন্তব্য করে শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছিল, সংস্কার সাধন করছিল তখনও একই জিনিস ঘটেছে। তারপরে ২১ বছর অপক্ষোর পরে ৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য চেষ্টা করছে তখন ২০০১ সালে সেই একই ষড়যন্ত্র।”
যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, “এই ষড়যন্ত্র নতুন কোন ষড়যন্ত্র না। যখনই এদেশের দরিদ্র-দুঃখি মানুষের জীবনের উন্নয়নের সুযোগ দেখা দেয় তখনই স্বাধীনতার শত্রু, স্বাধীনতাবিরোধীচক্র তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে।”
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, ডা. হেলাল উদ্দিন, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ।