সংসদ বিলুপ্ত, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছে বিএনপি ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেছে নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে এ গণমিছিল ও সমাবেশ ঘিরে সর্তক অবস্থানে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়েছে। মঞ্চটি ঘিরে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছে নেতাকর্মীরা। আশপাশের গলিতে অবস্থান নিচ্ছে অনেক নেতাকর্মীরা।
গণমিছিলকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পূর্ব পাশে চায়না টাউনের সামনে জলকামান, প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আর পশ্চিম পাশে নাইটিঙ্গেল মোড়েও পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিএনপির এই গণমিছিল কর্মসূচি। বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে মিছিল শেষ হবে। মিছিলে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের জন্য ১১টি পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে দলটি। আর গণমিছিলের আগে নয়াপল্টনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
গণমিছিলের মূল ট্রাকে থাকবেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।
এদিকে মিছিলের আয়োজনের পাশে পুলিশের প্রিজন ভ্যান দেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে পুলিশ এই ধরনের অবস্থান নিয়েছে বলে মনে করছে বিএনপি। বিএনপির নেতারা বলছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে গ্রেপ্তার এখন হালকা জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১৫ বছরে বিএনপির এমন নেতাকর্মী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হবে যিনি একবারের জন্য কারাগারে যাননি। ফলে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যতই ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করুক না কেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শেষ করব।