অক্টোবর ১২, ২০২২, ১২:৫১ পিএম
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে উপ-নির্বাচনে গোপন কক্ষে একজনের পরির্বতে আরেকজন ভোট দেওয়াসহ নানা অনিয়ম- জালিয়াতির ঘটনায় ৪৩ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।
আজ সকাল ৮টায় সাঘাটা উপজেলার ৮৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৫৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর মধ্যে গুরুতর অনিয়মের' অভিযোগে ৩১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী গোলাম শহীদ রনজু অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর পরই আওয়ামী লীগের লোকজন ভোটকক্ষ থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ ভোটারদের আঙুলের ছাপ নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে শুরু করে। তার কর্মী-সমর্থকদের কেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অভিযোগও তোলেন তিনি।
যদিও আগে থেকেই সুষ্ঠ ভোট নিয়ে শঙ্কাসহ নানা অভিযোগ করে আসছিল জাতীয় পার্টিসহ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা।
১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকছে সবগুলো ভোটকেন্দ্র। তারপরও অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন প্রার্থীরা।
আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।