বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরে বসে ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তবে ওইভাবে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে মতামত দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় ধাপে ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এতথ্য জানান।
দ্বিতীয় ধাপের ওই বৈঠকে ইসি’র নিবন্ধন হওয়া ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপিসহ পাঁচটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। ফলে দ্বিতীয় ধাপে আটটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।
বৈঠকে বেশ কয়েকটি দল অ্যাপসের মাধ্যমে ঘরে বসে ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দেয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এর জবাবে বলেন, “বর্তমান অবস্থায় ঘরে বসে বা অ্যাপসের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে একদিন হয়তো তেমন সুযোগ হবে।”
বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলের নেতাদের একজন প্রশ্ন করেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়ার পর কোন প্রতীকে ভোট দিয়েছেন তার একটি কাগজ দেওয়ার সুযোগ আছে কি না?
এর জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাতে নিরাপত্তার সমস্যা হবে। কারণ, ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর অন্য প্রার্থী শক্তিশালী হলে সমস্যা হতে পারে।”
তখন ওই রাজনৈতিক দলের নেতা বলেন, তাহলে ঘরে বসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করলে আরও নিরাপদ হবে।
এর জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “ভোটের পরে কাগজ দিলে সমস্যা হতে পারে। আর আমাদের বিদ্যমান আইনও সাপোর্ট করে না। ঘরে বসে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন কেউ কেউ। আমি অস্ট্রেলিয়াসহ বেশ কিছু দেশে খোঁজ নিয়েছি। আসলে একদিন হয়তো এই সিস্টেম হবে। তখন হয়তো মোবাইলের মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে।”