বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘেঁষে অবস্থিত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। সীমান্তবর্তী এই রাজ্যে মাসখানেক ধরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘর্ষ ও গোলাগুলি চলছে। এতোদিন সকাল-দুপুরে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও আজ শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশের তুমব্রু বাজার থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড তমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্রের একটি গুলি এসে পড়েছে।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত দুটি মর্টার শেলের গোলা একই ইউনিয়নে পড়েছিল। তবে মর্টার শেল বিস্ফোরিত না হওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন দুই শেষের মধ্যবর্তী শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে চার হাজার রোহিঙ্গা। এই শূন্যরেখার আশ্রয়শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে বলেন, মাসখানেক ধরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে আর্টিলারি ও মর্টার শেলের গোলার বিকট শব্দে আশ্রয়শিবির কাঁপছে।
স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সেজন্য সদ্য বিদায়ী আগস্টের শেষের দিকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী টানা ছয় দিন স্থল ও আকাশপথে তৎপরতা চালিয়েছিল। কয়েক দিন ধরে নিরাপত্তা বাহনীদের আকাশপথে তৎপরতা চোখে পড়েনি। বাংলাদেশের ভূখণ্ডেও দুবার মর্টার শেল এসে পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। এরপর দুই দিন বিরতি দিয়ে আবার দুপক্ষের গোলাগুলি শুরু হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দিল মোহাম্মদ বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নের সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। সেখানে বিজিবি পাহারা দিচ্ছে।