কলেজছাত্রকে বিয়ের প্রায় ৮মাসের মাথায় সেই শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিাবর সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার(এসপি) লিটন কুমার সাহা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে ছয় মাস আগে বিয়ে করেন শিক্ষিকা খাইরুন নাহার। সকালে ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গুরুদাসপুর উপজেলার একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার বিয়ে করেন কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে। চলতি বছরের ৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বিয়ের খবরটি ভাইরাল হয়। এতে সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে এবং উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মোছা. খাইরুন নাহারের রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহের কারণে ওই সংসার বেশি দিন টেকেনি । ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। ডিভোর্সের পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তার মৃত্যুর বিষয়ে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, মরদেহ উদ্ধারের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও তিনি জানান।